১। সময় সাশ্রয় :
অনলাইন ক্লাস নেওয়া আমাদের অনেকটা সময় বাঁচায়। যেদিকে অফলাইন ক্লাসে,
স্কুলে বা কলেজে যাতায়াত করতে কমপক্ষে ১ ঘন্টা নষ্ট হয়, আবার অনেকের আরো বেশি সময় লাগে শিক্ষাক্ষেত্রে পৌঁছতে।
তাছাড়া অনেকে স্কুল বাসে করে যাতায়াত করতে ক্লান্ত বোধ করে। তবে অনলাইন ক্লাসে এই ধরনের কোনো সমস্যা হয় না।
২। পড়াশোনার উপর বেশি জোর দেওয়া হয় :
অনলাইন ক্লাসে, শুধুমাত্র পড়াশোনার ওপর জোর দেওয়া হয়। সাধারণত অফলাইনে, স্কুলে বা কলেজে খেলাধুলা
এবং অন্যান্য কার্যকলাপের জন্য ছাত্রদের অনেক সময় দিতে হয়, যার ফলে অনেকসময় পড়াশুনার ক্ষতি হয়।
কিন্তু এ ধরনের কার্যক্রম অনলাইন ক্লাসে করা সম্ভব হয় না।
অনলাইনে যতক্ষণ ক্লাস চলে ছাত্ররা ততক্ষণ শুধু পড়াশোনা করে, কেবল পড়াশোনার সাথে সম্পর্কিত জিনিসগুলি শেখে।
৩। অভিভাবকরা সন্তানের প্রতি নজর রাখতে পারেন :
স্কুলে বা কলেজে শিক্ষকরা কিভাবে পড়ান? শিক্ষকের পাঠদানের ধরন কেমন?
যা শিক্ষা ক্লাসে দেওয়া হচ্ছে তা ছাত্ররা সঠিকভাবে বুঝতে পারছে কি না,
মন দিতে পড়াশুনা করছে কি না? এসবকিছু অভিভাবকদের মনেরই প্রশ্ন।
তবে অনলাইন ক্লাসে এসবের উত্তর অতি সহজে পাওয়া যায়,
কারণ আপনি আপনার নিজের চোখে ক্লাস হচ্ছে কিভাবে তা দেখতে পারেন।
৪। শিশুদের বোঝার জন্য যথেষ্ট সহায়ক:
অনলাইন ক্লাস করার সময়, শিশুরা শিক্ষকের সাথে যেকোনো বিভ্রান্তি নিয়ে বার বার কথা বলতে পারে।
অন্যদিকে অফলাইনে স্কুলে বা কলেজে গিয়ে ক্লাস করার সময় শিক্ষক যা নিয়ে আলোচনা করেন,
ছাত্রছাত্রীরা তা বাড়িতে আসতে আসতে অনেক সময় ভুলে যেতে পারে।
কিন্তু অনলাইন ক্লাসে সে বাড়ি থেকে ক্লাস করছে বলে যতবার খুশি একটি বিষয় নিয়ে বুঝতে শিক্ষককে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন।
৫। সবার ক্ষেত্রে সমান সুযোগ থাকে:
অনলাইন ক্লাসে সবাই সমান সুযোগ পায়,
শিক্ষার্থী শহরের হোক কিংবা দূরে গ্রামের প্রতিটা বিষয়ে সবাই সমানভাবে সুযোগ পায়।
যেখানে অফলাইনে ক্লাসে সাধারণত প্রথমদিকের ব্র্যাঞ্চে বসা ছাত্ররা বেশি সুযোগ সুবিধা পায়।
৬। ডিজিটাল যুগের সূচনা:
দেশকে ডিজিটাল হওয়ার পথেও এগিয়ে যেতে সহায়তা করছে অনলাইন ক্লাস।
ছাত্ররা মোবাইল ও ল্যাপটপের মাধ্যমে দেশ তথা বিশ্বের
যেকোনো স্থানের সেরা শিক্ষকের কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করে জীবনে এগিয়ে যাচ্ছে।